অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিগ্রস্ত দেশের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। কিন্তু তার সরকার নিজস্ব অর্থায়নেই যাবতীয় ঝুঁকি মোকাবেলায় সফল হয়েছে।
আজ (সোমবার) স্পেনের মাদ্রিদে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন কপ টোয়েন্টি ফাইভের বিশেষ অধিবেশনে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশের নেয়া প্ল্যানেটরি ইমার্জেন্সি সংক্রান্ত প্রস্তাব বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় বিশ্ব নেতাদের প্রতি মুহূর্তের নিষ্ক্রিয়তা মানবজাতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে নতুন প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নতুন প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে আমাদের শিশুরা ক্ষমা করবে না। আমাদের (বিশ্ব নেতাদের) প্রতি মুহূর্তের নিষ্ক্রিয়তা পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষের জীবিত মানুষকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কাজ করার এখনই সময়।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের জন্য এক নির্মম বাস্তবতা। এটি এখন মানবজীবন ও পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র এবং প্রাকৃতিক সম্পদের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে অভিবাসী সংকট মোকাবিলায় একটি যথাযথ কাঠামো তৈরি করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, কার্যকর অভিযোজন কৌশল অনুযায়ী অভিবাসীদের মাইগ্রেশন হলে আমরা অবশ্যই এর প্রশংসা করবো। আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর অভিযোজন ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের স্থানান্তর ও সুরক্ষা নিশ্চিতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে মনোযোগ দেওয়া দরকার। জলবায়ু পরিবর্তনে বাস্তুচ্যুত মানুষের প্রয়োজনে আমাদের একটি উপযুক্ত কাঠামো তৈরি নিয়ে আলোচনা শুরু করা দরকার।